নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীঃ বি টাউনের আল পাচিনো

ইলাস্ট্রেশনঃ অভিলাষ সাহা

नवाज़ुद्दीन सिद्दीकी

বলিউড নিউ ওয়েভের অন্যতম কান্ডারি, মেথড এক্টিং এর গৌতম বুদ্ধ, বি টাউনের আল পাচিনো: নওয়াজুদ্দিন ওরফে নাম্বারদার ওরফে ফায়জাল খানের ৪৫তম জন্মদিনে জানবো তার সিনেমাটিক জীবন ও জীবনের সিনেমা!

আমাদের স্বপ্ন, পরিকল্পনা, ভবিষ্যৎ ভাবনা, পরিশ্রম আমাদের কে প্রায়ই বিচ্ছিন্ন, স্ববিরোধী, দারুন ক্লান্ত সত্তায় নিক্ষেপ করতে পারে, করে এবং করবে। ঐ করাল গর্ত থেকে বের হয়ে আসার তুরীয় মুহূর্তে জন্ম নেয় একজন ধ্রুপদী নায়ক কিংবা নায়িকা। যে কিনা জানে, অপেক্ষা মানে কোনো কিছু হওয়ার জন্যে বেহুদা বসে থাকা নয়, বরং কোনো কিছু না হলে, না হতে থাকলে, সবকিছু বিরুদ্ধে থাকলে কিভাবে সেটাকে পাল্টাতে হয়। এ এক ভীষণ ওডেসি, এক তুখোড় আত্মযাত্রা, মনোজগতের এক দুর্দান্ত বলিখেলা। দুঃসাহসিক সেই বলি খেলায় কৃষকের ঘর থেকে কানের লাল গালিচা- নাম্বারদার নওয়াজুদ্দিন থেকে মেহনত করে কিভাবে বনে গেলেন ফায়জাল খান  কিংবা রামান, যেই গ্রামের মানুষ তিনটি জিনিসঃআখ, গম আর বন্দুক ছাড়া আর কিছু চেনে না, কিভাবে সেইখান থেকে উঠে এসে করলেন  “মান্টো”, উত্তর প্রদেশের মুজাফফার নগর থেকে “বাইপাস করে কিভাবে রজার এবার্টের মতো দুঁদে সিনেমা বোদ্ধার বাসায় দাওয়াতে “লাঞ্চবক্স” খুলে খেতে খেতে  সিনেমা নিয়ে আলাপ করলেন, আজকের গল্পটা সেইসবের ছোট ছোট মন্তাজ!

তরুণ নওয়াজ

কৃষক বাবার নয় সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় নওয়াজুদ্দিন। স্থানীয় কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে কেমিস্ট হিসেবে শুরু করেন কর্মজীবন। দ্রুতই বুঝে ফেলেন, এই ছা-পোষা জীবন তার নয়, দ্বিধাগ্রস্ত নওয়াজ ভাগ্য বদলাতে চলে যান দিল্লী। থিয়েটারে নাটক দেখে মনে হয়, এই সেই জীবন যা তিনি খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তার দিলের তামান্না অভিনয়। নিজেকে আবিষ্কার করে দেরি না করে যোগ দেন সেখানেই। বাড়ি থেকে কোনো টাকা পয়সা না চাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পে নওয়াজ পেট চালাতে ৯টা থেকে ৫টা ওয়াচম্যানের কাজ নেন, কাজ করে চলে যান থিয়েটারে। তার অভিধানে ওড জব বলে কিছু নেই, সমস্তই তার কাছে “কাম”। ওয়াচম্যানের কাজ কিভাবে পেলেন, এক সাক্ষাতকারে জিজ্ঞেস করাতে নওয়াজ বলেন, “দিল্লীর এক রেলস্টেশনে টয়লেটে দাঁড়িয়ে নিজেকে হালকা করছিলাম, তখন এক ছোট্ট পোস্টারে লেখা, সিকিউরিটি ও ওয়াচম্যান আবশ্যক। নম্বর টুকে রাখি, চাকরি নিয়ে নেই”। বাসায় এখন হাত পাতবেন না বলে মনস্থির করেন, চাকরি পান কিন্ত কোম্পানি শর্ত দেন, ৫ হাজার রুপি জামানত রাখতে, সেটাও ম্যানেজ করেন কোনোভাবে। ৯ টা থেকে ৫ টা ওয়াচম্যান, ৫টার পর থিয়েটার -এই ছিলো দিল্লীর জীবন। পাতলা দুবলা হওয়ার কারনে ওয়াচম্যানের চাকরিতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতেন না বেশিক্ষণ, বারে বারে বসতে হতো। ব্যাস, চাকরি নট। চাকরি হারিয়ে নওয়াজ যখন জামানত চাইতে গেলেন তখন বুঝতে পারলেন, এতোদিন বেগার খেটেছেন, পুরো ৫ হাজার রূপি মার যায় তার। ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েন এই ঘটনায়। থিয়েটারের লোকজনের পরামর্শে তারপরে যোগ দেন ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায়, থাকা খাওয়ার চিন্তা আপাতত মুলতবি। তিনি মনে করেন, ইন্সটিটিউট সরাসরি কিছু শেখায় না, এটা একটা খাজানা বা ভান্ডারের মতো, যা নেয়ার নিতে হবে নিজে। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় ঠিক এই কাজটিই করেছেন নওয়াজ।

ফায়জাল খান!
তারপর থেকে শুরু সিদ্দিকীর আসল খেলা, সোজা চলে যান মুম্বাই,  আমির খানের “সারফারোশ” সিনেমায় ছোট্ট একটা রোল করেন। এরপর টিভি সিরিয়ালে টুকটাক চরিত্রে অভিনয় করতে থাকেন, স্বকীয়তা বজায় রাখলেও ঐভাবে নজর কাড়তে পারছিলেন না কারোই, অজানাই থেকে যাচ্ছিলেন শক্তিমান এই শিল্পী। ২০০৩ সালে ইরফান খানের সাথে স্বল্প- দৈর্ঘের একটা চলচ্চিত্র করেন, শিরোনাম “বাইপাস”। এছাড়া বলতে গেলে অকেজো পড়ে ছিলেন ২০০২ থেকে ২০০৫ সালে, হতাশাজনক  খড়া গেছে এই শিল্পীর জীবন। অভিনয়ের জন্য কর্মশালা, চারজনের সাথে ফ্ল্যাট শেয়ার করে থাকা- এইছিলো জীবন। ২০০৪ সালে অনুরাগ কশ্যপের “ব্ল্যাক ফ্রাইডে” তাকে এনে দেয় দারূন এক পথচলা। প্রশান্ত বারগাভার “পাতাং” চলচ্চিত্রে প্রথম বড় রকমের চরিত্র পান, বার্লিন চলচ্চিত্র উতসবে দেখানো হয় সেই সিনেমা, খ্যাতিমান চলচ্চিত্র সমালোচক রজার এবার্টের প্রশংসাও পান। মোড় ঘুড়ে যায় উত্তরপ্রদেশের কেমিস্ট, দিল্লীর ওয়াচম্যান নওয়াজের। এরপর আমির খানের প্রযোজনায় পিপলি লাইভে সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করে অভিনেতা হিসেবে তার জায়গ পোক্ত করেন। এরপর করেন কাহানি (২০১২)। গ্যাংস ওফ ওয়াসিপুর দিয়ে রীতিমত ধ্রুপদী গ্যাংস্টার সিনেমায় নাম লিখিয়ে ফেলেন, ছড়িয়ে পড়ে নওয়াজউদ্দিনের খোশবু। মনোজ বাজপায়ি অভিনীত সর্দার খানের সন্তান ফাইজাল খানের ক্যারিশ্ম্যাটিক উপস্থিতি তাকে বলিউডে নতুন ভাবে পরিচয় করায়! তবে তার মতে তার সবচেয়ে সবচেয়ে রিয়েল পারফর্ম্যান্স হচ্ছে “ মিস লাভ্লি” (২০১২) সিনেমায়, আশিম আহ্লুওয়ালিয়ার সিনেমাটি যেটি কান চলচ্চিত্র উৎসবেও অংশ নেয়।

স্টারডমের তুমুল আলোড়নে অস্বস্তি বোধ করেন, ভাবতে পছন্দ করেন অভিনয় তার একটা পেশা, একটা চাকরি, একটা অর্পিত দায়িত্ব। তবে একটা ব্যাপারে ভীষণ বিরক্ত বোধ করেন, হতাশ হন সেটা হচ্ছে ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতে কোনো মেরিট সিস্টেম বা মেধাভিত্তিক নিয়োগ না থাকায়। “ড্রামা স্কুল থেকে শিক্ষা, বাস্তব অভিজ্ঞতা, চরিত্র ফুটিয়ে তোলা সবকিছুর পরেও আমি কাজ পাচ্ছিলাম না, আমি জানি আমি কিসের যোগ্য কিন্ত তারপরেও পাচ্ছিলাম না। দেখছিলাম যে সবকিছুর মূলে আছে দেখতে কেমন, লম্বা কতটুক তার ভিত্তিতে যখন কেউ চরিত্র পায়”। রিজেকশন বা বাদ পড়ে যাওয়া তাকে কখনো দমিয়ে ফেলতে পারেনি, যেটি তাকে হতাশ করতো তা হচ্ছে আন্ডারএস্টিমে বা হেয় জ্ঞান করা – কেন শিল্পী কে বাহ্যিকতার মানদণ্ডে বিচার করা হবে যেখানে অভিনয়ের সাকুল্যে ১০ ভাগ মাত্র সেই ব্যাপারটির ওপর নির্ভরশীল? তার চেহারা, তার শারীরিক গঠন তাকে অনেক ভুগিয়েছেঃ ওয়াচম্যানের চাকরি থেকে অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কোনো রোল পেতেন না এই কারনে। এরই মধ্যে ২০০৮-০৯ সালের দিকে বলিউডে কিছু নতুন ধারার পরিচালকের উত্থান ঘটলো। প্রথমবারের মতো বলিউডে ইন্ডি ফিল্ম একটি আলাদা জায়গা করে নিতে সক্ষম হল। নন্দিতা দাস, হ্যানসল মেহতা, আনুরাগ কাশ্যপের মত পরিচালকরা আলোচনায়, সিনেমার জগতে তাদের আগমনী বার্তা দিকে দিকে। কোনো এক নাটকে নওয়াজের অভিনয় দেখে আনুরাগ কাশ্যপ ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’-তে তাঁকে মোটামুটি একটা বড় রোল দিয়েছিলেন। সেখানে দুর্দান্ত অভিনয় করলেও অন্য কোনো পরিচালকের নজরে পড়লেন না। অবশেষে আবার এই আনুরাগ কাশ্যপই এলেন রক্ষাকর্তা হয়ে। বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত তার গ্যাংস্টার ফিল্ম "গ্যাংস অব ওয়াসিপুর"-এ নওয়াজকে দিলেন লিড রোল।

বলিউডের এই পয়লা দর্শনদারি তারপর গুনবিচারি প্রথা প্রথম জীবনে তাকে ভীষণ হতাশা উপহার দিয়েছে। অনেক বারই ছেড়ে দিতে চেয়েছেন এই জীবন কিন্ত ভেবেছেন, কেমিস্টের জীবন ছেড়ে হয়েছেন অভিনেতা, অভিনেতার জীবন ছেড়ে কোথায় যাবেন? একধরনের এক্সিস্টেন্সাল ক্রাইসিস থেকেই নওয়াজ শক্তি অর্জন করেছেন। খারাপ ভালো যাই হোক কামড়ে ধরে পড়েছিলেন, জায়গা-অজায়গা-কুজায়গায় কাজ করলেও সবসময়  নিজের ততকালিন সেরাটা নিংড়ে দেয়ার  সংকল্প তা থেকে কখনো পিছু হটেন নি, হা হুতাস করার পরিবর্তে ক্রমাগত নিজের সেরার পরিধী বাড়িয়েছেন, । বাকিটা আপনি জানেন, সিদ্দিকী এখন কোথায়। হতাশা তার জীবনে উপহার বললাম এই কারনে যে এই হতাশাই পরবর্তীতে তাকে উজার করে “সিদ্দিকী-ইয়েস্ক” নামক নহর কে জারি রাখতে সহায়তা করেছে। নিজের ওয়েবসাইটের সূচিতে লেখা, “I am blessed to be doing what I always wanted to do – Acting”। তার সম্পর্কে শাহরুখ খান বলেনঃ

“২৫ বছর ধরে আমি ফিল্মে কাজ করছি। এই দিক দিয়ে আমি সিনিয়র হতে পারি, কিন্তু অভিনয়ের দিক থেকে আমি মোটেও তার চেয়ে সিনিয়র না। যেকোনো অভিনয়ের কাজই তিনি অনেক আলাদা তরিকায় করেন। এবং আমরা যারা সামনে থাকি, তারা ইন্সপায়ার্ড হয়ে যাই। অভিনয়ে তার যে দ্যুতি, তা আমাদের গায়েও এসে পড়ে, যার ফলে আমাদেরকেও ভালো দেখায়”।

“Cinema for me has no boundaries. Be it Indian, International or Regional Cinema, I am influenced by its content, feel and substance”

-এই হচ্ছে নওয়াজের সিনেমা ভাবনা। হয়তো সেই কারনেই ইরফান খানকে নিয়ে সিনেমা বানানো মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নতুন ছবিতে অভিনয় নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী।ছবির নাম "নো ল্যান্ডস ম্যান"। অভিনয়ের পাশাপাশি এর প্রযোজনাও করবেন নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী।



ক্রমাগত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী

মনোযোগ দিয়ে গড়েছেন নিজেকে। বোধান থেকে দিল্লী, দিল্লী থেকে বোম্বে - স্বপ্ন দেখেছেন পরিমিত পরিমানে কিন্ত নিয়মিত দেখেছেন, প্রতিদিন প্রতিঘন্টা, প্রতি মিনিট, প্রতি সেকেন্ড। রাস্তায় নাটক, ছোটখাট টিভি রোল, ওয়াচম্যান, কেমিস্ট, ড্রামা স্কুল – তিনি বলেছেন স্বপ্ন দেখার থেকে তিনি টিকে থাকতে চেয়েছেন, জারি রাখতে চেয়েছেন নিজের স্বপ্নের ক্ষীনধারা। সেই ক্ষীনধারা স্বপ্ন থেকে একসময় স্নিগ্ধ কিন্ত শক্তিশালী জলপ্রপাত হয়ে উঠেন নওয়াজুদ্দিন! নওয়াজুদ্দিন সরাসরি হয়তো কোথাও বলেন নি এই কথা, তবে তার ক্যারিয়ার যদি একটি বাক্যে লিখতে বলা হয় তা হবেঃ প্রতিভা ছাড়ো, কাম করো, নিজেকে খুঁজে পাও।খোয়াব কে শুধুমাত্র পরিশ্রম আর স্বকীয়তা দিয়ে গলদ প্রমাণ করেছেন বৈচিত্রের সুবাস ছড়ানো নওয়াজুদ্দিন । ফিল্মের ঝা চকচকে দুনিয়ায় শুধু খোমা থাকলেই হয় না, জানতে হয় আসল কাজঃ অভিনয় - এই সত্য তিনি প্রমাণ করে ছেড়েছেন বি টাউনের মতো জায়গায়, যেখানে উচ্চতা, সৌন্দর্য্য আর পেটানো শরীর আগে, অভিনয় পরে। তিনি কি কি পুরষ্কার পেয়েছেন সেই আলাপের থেকে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে, বলিউড ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক সিনেমা অঙ্গনে তার একটা জায়গা তৈরি হয়ে গিয়েছে এবং সেটি দিনে দিনে বাড়ছে( পুরষ্কার পেতে ঢু মারতে পারেন তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে)। তিনি অভিনয় করার থেকে অভিনয় না করা বেশি জানেন- কি, খটকা লাগলো? আরে, একটা বিশাল বরফের টুকরা যখন ভেসে ভেসে যায়, তার কতটুকু দেখা যায়, বেশির ভাগই তো থাকে অন্দরমহলে, অন্তর্গত অবস্থায়। আমাদের সিদ্দিকী সাহেবের অভিনয় না করার দক্ষতাও ঠিক একই কিসিমের- স্বতঃস্ফূর্ত, বাস্তব, তাৎক্ষনিক। যা দেখবেন দর্শক, তার থেকে বেশি চিত্র আকা হবে মনের পটে –এটাই অভিনয় না করা! যার কারনে তিনি একজন ফায়জাল খান, একজন রাঘাব, একজন কচি মনের সাংবাদিক, একদন দ্রোহী লেখক মান্টো!


একনজরে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর উল্লেখযোগ্য সিনেমাঃ ( একদম সাব্জেক্টিভ, আপনার বিবেচনা নির্দ্বিধায় জানান)

বাইপাস (শর্ট) (২০০৩)
নিউ ইয়র্ক (২০০৯)
পিপলি লাইভ ( ২০১০)
কাহানি (২০১২)
তালাশ (২০১২)
গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর ( ২০১২)
দ্য লাঞ্চবক্স (২০১৩)
বাজরাঙ্গি ভাইজান (২০১৫)
মান্টো (২০১৮)
স্যাক্রেড গেইমস (২০১৮)
দ্য ফটোগ্রাফ(২০১৯)
নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর পছন্দের সিনেমাঃ

ওং কার ওয়াই এর ইন দ্য মুড ফর লাভ (২০০০)
ভিত্তোরিও ডি সিকার বাইসাইকেল থিভস (১৯৪৮)
হুয়ান হোসে কাম্পানেল্লার দ্য সিক্রেট ইন দেয়ার আইস (২০০৯)
ব্রায়ান ডি পামার স্কারফেস (১৯৮৩)
আসগার ফরহাদির আ সেপারেশন (২০১১)
নারকোস    (নেটফ্লিক্স ধারাবাহিক)
ব্ল্যাক মিরোর (নেটফ্লিক্স ধারাবাহিক)

Comments

Popular posts from this blog

"দেবী" (২০১৮) : জয়া প্রযোজক প্রথমবার নিয়ে কিছু আলাপ,ফিরে দেখা,চেক ব্যাক

L F D: ঢাকার সিসিফাসের গল্প ( Live From Dhaka )

ভারত অস্কারে পাঠাচ্ছে গালিবয়ঃ সেরা সিনেমা বনাম ফিল্ম সার্কিট পলিটিক্স